ইভ্যালির জন্য বোর্ড গঠন করে দেবেন হাইকোর্ট। একজন প্রাক্তন বিচারপতি, একজন সচিব, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও একজন আইনজীবী দিয়ে ওই বোর্ড গঠন করা হবে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এক রিটের শুনানি শেষে বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন রেখেছে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ইভ্যালির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে দাখিল করেছে জয়েন্ট স্টক কম্পানিজ। তবে সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত অডিট রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসব নথি দাখিল করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের নথি তলব করেছিলেন আদালত। ১২ অক্টোবরের মধ্যে এসব নথি আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওইদিন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ তলবের আদেশ দিয়েছিলেন।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব ওইদিন জানিয়েছিলেন, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে গত মে মাসে একটি ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইল ফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনায় ৩৩ হাজার ৩০৮ টাকার একটি রসিদও দেয়। কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি।
পণ্য বুঝে পেতে আবেদনকারী যোগাযোগ করলে তাকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু পণ্য বুঝিয়ে দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি। পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং হাইকোর্টে কম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে আবেদন করেন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।